কবরস্থান উন্নয়ন কমিটি
চলন বিলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের নাম হুলহুলিয়া৷ পূর্বে এ গ্রামের প্রায় তিন চার মাস ব্যাপি জলমগ্ন থাকতো৷ যে কারণে পারিবারিক গোরস্থান হিসাবে পুকুর পার, ভিটাবাড়ীকেই কবর স্থান হিসাবে বিবেচনা করা হতো৷
চলন বিলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের নাম হুলহুলিয়া৷ পূর্বে এ গ্রামের প্রায় তিন চার মাস ব্যাপি জলমগ্ন থাকতো৷ যে কারণে পারিবারিক গোরস্থান হিসাবে পুকুর পার, ভিটাবাড়ীকেই কবর স্থান হিসাবে বিবেচনা করা হতো৷
হুলহুলিয়া গ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে সবচেয়ে আলোচিত নাম দি-হুলহুলিয়া ডায়মন্ড ক্লাব৷ ১৯৪৪ সালে জনাব মোঃ মফিজ উদ্দিন প্রামানিক (হেড পন্ডিত) এর নেতৃত্বে এবং গ্রামের সকলের সার্বিক প্রচেষ্ঠায় দি হুলহুলিয়া ডায়মন্ড ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়৷ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এই ক্লাবটি অত্র গ্রামের সকল জনগণের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে পরিচালিত হয়ে আসছে৷
সিংড়া উপজেলা থেকে আঁকা বাঁকা পায়ে হাটা রাস্থায় ছয় কিলোমিটারের পথ হলো হুলহুলিয়া গ্রাম৷ এ গ্রামে একটি ডাকঘর স্থাপনের জন্যশিক্ষা অনুরাগী জনাব মোঃ মফিজ উদ্দিন প্রামানিক (হেড পুন্ডিত)এর অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং সকল গ্রামবাসীর সহযোগীতায় ১৯৫৬ সালে ডাকঘরটি স্থাপিত হয়৷
সিংড়া উপজেলা থেকে পায়ে হাঁটা রাস্তায় ছ্য় কিলোমিটার পথ হল হুলহুলিয়া গ্রাম। প্রাথমিক শিক্ষা একজন মানুষের তার জিবনের মৌলিক শিক্ষার শুরু। এই শিক্ষা কে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন উচ্চ বিদ্যালয়।
শিক্ষা বিস্তারের সোপান হিসাবে বিবেচিত, যেখান থেকে একজন শিশুর প্রথম হাতেখড়ি সেই হুলহুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ স্কুলের ভবন নির্মানের জন্য জায়গা দান করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব আফতাব উদ্দিন মৃধা।
হুলহুলিয়া গ্রামের শতভাগ মানুষ মুসলমান৷ ধর্মের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও ধর্মভীরু, তবে ধর্মান্ধ নয়৷ ইসলাম কর্তৃক নির্দেশিত পথে নিজে অনুসরণ এবং অন্যকে অনুকরণ করতে সদা সচেষ্ট৷ এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মরহুম সমতুল্ল্যাহ প্রামানিক সর্বপ্রথম ১৩১৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৯১০ সালে আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন একটি সুরম্য পাকা মসজিদ নির্মাণ করেন৷ নির্মাণপূর্ব এ মসজিদের ব্যয় নির্বাহ করার জন্য তিনি প্রায় ষোল বিঘা জমি এককালীন দান করে যান৷